শিশুরা, যখন খিদে পায় তখন খায়। অন্যান্য অনেক অভিভাবকের মতো, আপনি ভাবতে পারেন আপনার শিশু যথেষ্ট পরিমাণে খাচ্ছে কি না। শিশুদের খিদে না পাওয়া একটি সাধারণ অসুস্থতার লক্ষণ। তবে, শিশুর খিদে কমে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, দৈনন্দিন পরিবর্তন বা বৃদ্ধির গতির কারণে শিশুরা তাদের খিদে হারাতে পারে।
অন্যদিকে, কিছু শিশু দাঁত ওঠার সময় খিদে হারাতে পারে। এই উদ্বেগজনক কারণগুলির পাশাপাশি, তারা কতটা সক্রিয়, উত্তেজিত বা ক্লান্ত, কোথায় খাচ্ছে (বাড়িতে বা ডে-কেয়ারে), এবং তারা বৃদ্ধির গতি অনুভব করছে কিনা সেটাও এক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে। আপনার শিশুর খাওয়ার অভ্যাস বুঝতে প্রতিদিনের পরিবর্তে তাদের সাপ্তাহিক খাওয়ার প্যাটার্ন লক্ষ্য করুন। শিশুদের খিদে কমে যাওয়ার কারণগুলি জানতে পড়তে থাকুন।
শিশুদের খিদে না পাওয়ার লক্ষণ
শিশুরা ধীরে ধীরে খিদে হারায়। তবে, এই লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা জরুরি, যাতে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী খাদ্য তালিকা পরিবর্তন করতে পারেন অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। যদি আপনার শিশু খিদে হারায়, তবে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যাবে:
১. যে খাবারগুলি তারা সাধারণত পছন্দ করত, তা খেতে অস্বীকৃতি জানানো।
২. খাওয়ার সময় বিরক্ত বা অসন্তুষ্ট হওয়া।
৩. সর্বদা লালা ঝরা।
৪. খাওয়ার পর বমি হওয়া।
শিশুদের খিদে না পাওয়ার কারণ
শিশুদের খিদে কমে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। আপনার নবজাতক যখন বড় হতে শুরু করে, তাদের শরীরে এমন অনেক পরিবর্তন আসে যা খাদ্য পছন্দ, খাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি এবং খিদে কে প্রভাবিত করে। শিশুর খিদে না পাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কয়েকটি কারণ নিম্নরূপ:
১. আয়রনের অভাব
শিশুদের মধ্যে খিদে না পাওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ হল আয়রনের অভাব, যাকে অ্যানিমিয়া বলা হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি এবং ত্বকের ফ্যাকাশে ভাবের মতো লক্ষণসহ থাকে। আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার শিশুর খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
২. দাঁত ওঠা
দাঁত ওঠার সময় শিশুরা সাধারণত দুই থেকে তিন সপ্তাহ খিদে হারায়। এটি স্বাভাবিক, কারণ তাদের মাড়ি সংবেদনশীল হয়ে যায়। দাঁত ওঠার কারণে মাড়ি প্রদাহিত হতে পারে, যার ফলে দাঁত অতিসংবেদনশীল হয়ে ওঠে। সবচেয়ে সামান্য স্পর্শেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে। যদি শিশুটি ব্যথার কারণে খেতে অস্বীকৃতি জানায়, তাদের স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে।
দাঁত ওঠার সময় ঠান্ডা ফল বা আইস ললি উপকারী হতে পারে। আপনার শিশু যদি সলিড ফুড খেতে সক্ষম হয়, তবে দই বা আপেল খাওয়ান, যা সহজে খাওয়া যায়। যদি দুই সপ্তাহ পরে খিদে স্বাভাবিক না হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৩. বৃদ্ধির ফেজ
শিশুর বৃদ্ধির গতি ৬ মাস পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত হয়। এরপর ৬–১২ মাসের মধ্যে এটি ধীরে ধীরে কমে যায় এবং ১২–১৮ মাসের মধ্যে আরও কমে যায়। ফলে শরীরে ক্যালরির প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। এর ফলে ১৬ মাস বয়সী শিশুরা খিদে হারাতে পারে।
এছাড়াও পড়ুন: শিশুর মাইলস্টোন চার্ট: বৃদ্ধি ও উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্য
৪. জলবায়ু পরিস্থিতি
খন আবহাওয়া খুব গরম থাকে, তখন শিশুরা অতিরিক্ত তাপের কারণে খিদে হারায়। শিশুটি অস্থির থাকে এবং অতিরিক্ত ঘামের ফলে সে ঠিক ভাবে খেতে পারে না। গরম আবহাওয়ায় শিশুকে উপযুক্ত পোশাক যেমন Mulmul Jhabla পরানো উচিত।
SuperBottoms Mulmul Jhablas নরম ১০০% কটন মলমল কাপড়ে তৈরি, যার সাথে আরামদায়ক wrap-over প্যাটার্ন এবং easy-snap বোতাম থাকে, যা দ্রুত ও ঝামেলা ছাড়া পরানো যায়। শিশুকে হালকা গরম জল দিয়ে স্নান করান এবং তাকে ঘরের এক শান্ত কোণে বসান। এতে শিশুর শরীর শীতল হবে এবং সে তৎক্ষণাত স্বস্তি অনুভব করবে।
৫. ভাইরাল সংক্রমণ
শিশুরা সাধারণ ঠান্ডা, কাশি বা জ্বরের মতো অসুস্থতার কারণে খিদে হারাতে পারে। শিশুর সুস্থ হওয়ার পর খাদ্যাভ্যাস স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসে। ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণও শিশুর খিদে কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে।
ব্রংকাইটিস, কান সংক্রমণ এবং ফ্লু এর মতো অসুস্থতা, এর কিছু উদাহরণ। এই অবস্থায় শিশুর হার্ট রেট বেড়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট হয়। ফলে শিশুর খিদে কমে যায়। নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং শিশুর খিদে বজায় রাখতে সহায়তা করে।
শিশুদের খিদে বাড়ানোর ৫টি উপায়
আপনি আপনার শিশুর খিদে বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নিতে পারেন:
১. সুপারফুড যোগ করুন
আজওয়াইন, তুলসি, হিং, আদা, দারুচিনি এবং পুদিনা ৮ থেকে ১২ মাস বয়সী শিশুদের জন্য চমৎকার খিদে বাড়ানোর উপাদান। এই খাবারগুলো পাচনতন্ত্র কে সাহায্য করে, যা শিশুকে ক্ষুধার অনুভূতি দেয়।
২. খাওয়ার সময় উপভোগ্য করুন
খাবার পরিবেশনের বিভিন্ন উপায় চেষ্টা করুন। আট মাস বয়সের শিশুরা রঙ এবং আকারের প্রতি ভালো সাড়া দেয়। তাই রঙিন এবং আকর্ষণীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
৩. জিংক গ্রহণ বাড়ান
জিংক গ্রহণ বাড়ানো যায় কুমড়োর বীজ, ডাল, দই এবং মুরগির মাংসের মতো খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে। যদি শিশুর শরীরে জিংকের অভাব থাকে, তবে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড যথাযথভাবে উৎপাদিত হয় না, ফলে খিদে কমে যায়।
৪. জোর করে খাওয়াবেন না
শিশুকে খাবার অস্বীকার করার সুযোগ দিন এবং পরে আবার চেষ্টা করুন। জোর করে খাওয়ালে খাওয়ার সময় শিশুর জন্য চাপ পূর্ণ হয়ে যায়।
৫. বারবার খাবার দেওয়া এড়ান
শিশুর পুরোপুরি হজম করতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লাগে। খাবার উপযুক্ত সময়ে দিলে শিশুরা ভালোভাবে খায়। তাই খাবারগুলো ছোট ছোট ভাগে দিন, যেমন প্রায় পাঁচটি ছোট খাবার, যাতে খাওয়ার সময় দ্রুত এবং সহজ হয়।
মূল বিষয়গুলো
১. সাধারণ লক্ষণ: শিশুদের খিদে না পাওয়া একটি সাধারণ অসুস্থতার লক্ষণ।
২. উপযুক্ত পোশাক: গরম আবহাওয়ায় শিশুকে উপযুক্ত পোশাক যেমন Mulmul Jhabla পরানো উচিত।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি দুই সপ্তাহের পরও শিশুর খিদে স্বাভাবিক না হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
SuperBottoms থেকে বার্তা
নমস্কার, নতুন অভিভাবকগণ! সুপারবটম আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে চিকিৎসক-প্রশংসিত কাপড়ের ডায়াপার — আপনার শিশুর সংবেদনশীল ও কোমল ত্বকের জন্য সেরা র্যাশ-মুক্ত ডায়াপার সমাধান। ডিসপোজেবল ডায়াপারের মতো রসায়নযুক্ত নয়, আমাদের নবজাতকের কাপড়ের ডায়াপার গুলি সঠিকভাবে ব্যবহার ও ধুয়ে নিলে ডায়াপার র্যাশের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। SuperBottoms পুরো পরিবারের জন্য নিরাপদ এবং শিশুর ত্বককে ক্ষতি না করা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করে — যেমন Reusable Cloth Diapers, ডায়াপার প্যান্ট, DryFeel langots (ডায়াপার-মুক্ত সময়ের জন্য), প্যাডেড অন্তর্বাস (পোট্টি প্রশিক্ষণ-এর জন্য), সুপার সফট অন্তর্বাস (প্রতিদিনের আরামের জন্য), জগার্স(খেলাধুলার জন্য) এবং মহিলাদের জন্য পিরিয়ড অন্তর্বাস। শুধু দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নয়, SuperBottoms পণ্যগুলি শিশুদের জন্য সেরা উপহার হিসেবেও উপযুক্ত — যত্নশীল, পরিবেশবান্ধব, ব্যবহারিক এবং পিতামাতাদের প্রিয়। এখন এগুলি পাওয়া যাচ্ছে আমাজন, মিন্ট্রা, ফ্লিপকার্ট, ফার্স্ট ক্রাই, জেপটো, সুইগি এবং ব্লিঙ্কিট এ ।